বিজয় দিবসের ছুটিতে কক্সবাজারের বিপুল পর্যটকের সমাগম ঘটেছে। সব হোটেল-মোটেল আগে থেকেই বুক হয়ে গেছে। পর্যটকদের নিরাপত্তায় নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।
আজ সোমবার সকাল থেকে কক্সবাজার আসতে থাকে একের পর এক বড় পরিবহন। সেই সঙ্গে ট্রেন ও আকাশপথে আসে পর্যটকরা সব মিলে দুপুরের মধ্যে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবনী, সুগন্ধা, কলাতলী পয়েন্ট পর্যটকদের পদবারের মুখর হয়ে ওঠে।
ঢাকার শান্তিবাগ থেকে আসা পর্যটক লাবিবা বলেন, পরিবার নিয়ে এসেছেন আজ সকালে। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অনেক দিন পর কক্সবাজারে এসে ভালো লাগার কথা জানান তিনি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর থেকে আসা পর্যটক হাবিব, সোহেল ও তারেক বলেন, পরীক্ষা শেষ করে সব বন্ধু মিলে তারা কক্সবাজার এসেছেন। সৈকতের বালিয়াড়িতে তারা ভালো আনন্দ উপভোগ করেছেন। সৈকতের নীল জলরাশি তাদের বারবার টানে।
হোটেল দ্য কক্স টুডের এজিএম আবু তালেব শাহ বলেন, ডিসেম্বর পর্যন্ত ভালো পর্যটক আছে। জানুয়ারিতেও ভালো বুকিং আছে। সব মিলে ব্যবসাটা এখন ভালো হচ্ছে। তবে আগস্টের সময় ব্যবসা খারাপ গেছে।
টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের মুখপাত্র সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবুল কালাম বলেন, স্বাগত পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে টুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, পর্যটকরা যাতে কোনোভাবে হয়রানির শিকারে না হয়, সেজন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে সৈকত এলাকায় কয়েকটি টিম কাজ করছে। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাঠকের মতামত